Ticker

20/recent/ticker-posts

Metal Detection Policy & Procedure - মেটাল সনাক্তকরণ নীতিমালা ও কার্যপ্রণালী

নীতিমালাঃ
ফ্যাক্টরির সকল জায়গায় ইহার উৎপাদিত গার্মেন্টস-এর অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে সকল প্রকার ঝুকিপূর্ন ক্ষতিকারক ধাতব/খন্ড মুক্ত রাখার জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
প্রত্যেক কর্মী / বিভাগ কঠোরভাবে এ নীতিমালা মেনে চলবে যাতে করে “পন্য সামগ্রীর নিরাপত্তা” প্রোডাক্ট সেফটি নিশ্চিত হয়।

প্রয়োগ ক্ষেত্রঃ
উৎপাদন কাজে সংশ্লিষ্ট জায়গাসমূহ ও বিশেষ করে উৎপাদনের সর্বশেষ পর্যায়ে প্যাকিং সেকশনে প্রবেশের পূর্বে।

আবশ্যকীয় / বাধ্যবাধকতাঃ
প্রত্যেক বিভাগে একটি নিয়ন্ত্রিত এবং নথিভূক্ত মেটালের ব্যবহার ও মেটাল ডিটেকশন পদ্ধতি থাকতে হবে। কোন ব্যক্তিই বিনা প্রয়োজনে লৌহজাত কোন বস্তু নিয়ে যত্রতত্র চলাচল করতে পারবে না। একজন ট্রেইনিং প্রাপ্ত অপারেটর মেটাল ডিটেকশন/সনাক্তকরণ মেশিন অপারেট করবেন এবং নিয়মিত মেটাল সনাক্তকরণ মেশিনের কার্যক্ষমতা, ক্যালিব্রেশন ও সেনসেটিভিটি চেক করে রিপোর্ট সংরক্ষণ করবেন।

দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
মেটাল ডিটেক্টর অপারেটর, প্যাকিং সুপারভাইজার, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, প্রোডাকশন ম্যানেজার এবং মেইন্টেনেন্স বিভাগ এই পদ্ধতি সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন, অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তার জন্য দায়বদ্ধ।

কার্যপ্রণালীঃ

  1. ট্রেনিং প্রাপ্ত অনুমোদিত অপারেটর দ্বারা মেটাল ডিটেক্টর মেশিন অপারেটিং করতে হবে এবং ঘড়ি, আংটি কানের দুল ইত্যাদি খুলে রাখতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর রুমে অপারেটর ছাড়া অন্য কারো প্রবেশ সংরক্ষিত থাকতে হবে।
  2. পাওয়ার সুইচ দেওয়ার পর হলুদ বাতি জ্বললে পাঁচ মিনিট পর স্টার্ট বাটনে চাপ দিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।
  3. মেশিন বন্ধ করার জন্য স্টপ বাটনে চাপ দিয়ে পাওয়ার সুইচ বন্ধ করতে হবে।
  4. প্রতি দুই ঘন্টা পরপর অপারেটর দ্বারা মেটাল ডিটেক্টর মেশিন 0.8mm/ 1.0mm/ 1.2mm (বায়ার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী) ফেরাস কার্ড দিয়ে ক্যালিব্রেশন করে রিপোর্ট করে রেকর্ড রাখতে হবে। আর কাজ না থাকলে ঐ দিন তিনবার (সকাল ৮ টা, দুপুর ১২ টা এবং বিকাল ৫ টা) ফেরাস কার্ড দিয়ে চেক করবে।
  5. একাধিক গার্মেন্টস একসাথে কনভেয়ার বেল্টের উপর দেয়া যাবে না।
  6. মেটাল ডিটেক্টর মেশিনে কোন সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে মেইন্টেন্যান্স বিভাগকে অবহিত করতে হবে এবং মেশিন ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ঐ মেশিনে কোন গার্মেন্টস চেক করা যাবে না।
  7. মেশিনের সমস্যা ধরা পড়ার সাথে সাথে যেসব গার্মেন্টস ঐ ঘন্টায় চেক হয়েছে সেসব গার্মেন্টস ফেরত এনে পুনরায় চেক করতে হবে।
  8. চেক করার সময় যদি মেশিন কোন প্রকার এলার্ম দেয় তখন সেই গার্মেন্টস নির্দিষ্ট  “কন্টামিনেটেড রেড বক্সে”- এ তালা বন্ধ করে রেখে রেজিষ্টার বুকে রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।
  9. কন্টামিনেটেড রেড বক্সে গার্মেন্টসের পরিমাণ বেশী হয়ে গেলে সেই গার্মেন্টস সমূহ “হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর মেশিন” দিয়ে পুঙ্খানুরুপে চেক করে যদি মেটাল সনাক্ত করা যায় তবে তা অপসারন করে রেজিস্টার বুকে রেকর্ড সংরক্ষণ করে সংশ্লিষ্ট কিউ.সি-র মাধ্যমে প্রোডাকশন ফ্লোরে দিবে।
  10. আর যদি মেটাল সনাক্ত করা না যায় তবে সেই গার্মেন্টস সমূহ (১ মাস অথবা ৩ মাস অন্তর অন্তর) সাবধানতার সাথে কারখানার বাহিরে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে কোয়ালিটি, প্রোডাকশন ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ফেলতে হবে এবং রেজিস্টার বুকে রেকর্ড সংরক্ষণ করে তারপর ছাইগুলো নদী অথবা মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।

Post a Comment

0 Comments